ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া অঞ্চলে জাতিগত হামলায় ১০০ জনেরও নিহত নাগরিক নিহত হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, অস্ত্রধারীরা এসব নাগরিকের ওপর হামলা চালিয়ে ‘মুরগির মতো হত্যা’ করেছে।
রোববার (১৯ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনেভ জানায়, নিহতদের মধ্যে বেশিভাগই আমহারা জাতিগোষ্ঠীর। অতর্কিত হামলা ও হত্যার জন্য ওরোমো লিবারেশন আর্মিকে (ওএলএ) দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ১০০ জনের বেশি হত্যার শিকার হয়েছে, এ তথ্য প্রায় নিশ্চিত।
তবে, ওরোমিয়া অঞ্চলের আরও কজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২০০ জনেরও বেশি। ওরোমিয়ার আঞ্চলিক সরকার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে, নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি।
শনিবারের হামলার ঘটনায় এক বিবৃতিতে আঞ্চলিক সরকার জানিয়েছে, ফেডারেল নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরুর পর সেটি প্রতিহত করার চেষ্টায় ছিল ওরোমো লিবারেশন আর্মি। কিন্তু কিছু করে উঠতে না পেরে ন্যক্কারজনক এ হামলা চালায় সংগঠনটি।
এদিকে, ওএলএ মুখপাত্র ওদা তারবি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সরকার আবারও আমাদের দোষারোপ করছে, কিন্তু ঘটনাটি তারা নিজেরাই ঘটিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে আক্রমণের কথা বলা হচ্ছে, তা দেশের শাসক তার সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় মিলিশিয়াকে দিয়ে ঘটিয়েছে। এর আগে তারা আমাদের প্রতিরোধের মুখে গিম্বিতে পিছিয়ে পড়েছিল।
তিনি আরও দাবি করেন, ওরোমিয়া অঞ্চলে হামলার যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে আমাদের কোনো সদ্য যায়নি। ওএলএ’র ওপর ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।